প্রতিকূল এবং অনুকূল পরিবেশে
সদাবাহার ফুলের মতো ক্রমাগত
জন্মানো এইসব কবিতারা
একটি পূর্ণ মানবিক অবয়বে
সেইসব মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই
যারা কবিতাকে কেবলমাত্র কালির ছিটে
ভেবে , যেন পিঠের ওপর ছিটিয়ে না দেয় !
বরং যখনই কবিতার একটি শিরা
হাতে আসবে তখন তাকে শুধুমাত্র না পড়ে
আত্মস্থ করবে এবং বুঝতে পারবে যে
এটা যতই সাবলীল ভাবে বোনা হোক
এর ভিতরে একটি গিঁট খুব দক্ষতার
সাথে লুকানো আছে যেখানে
অনেক সমস্যা বা চিরপরিচিত কোন
আর্তনাদ প্রতিধ্বনিত হয় !
এই গিঁটকে স্পর্শ করে মানুষের এই
উপলব্ধি হওয়া উচিৎ যে এই কালি
এতো গাঢ় হলো কি করে !
এই কালি মানুষের চোখের জলের
প্লাজমা হয়ে নিজের তৎকালীন বহমানতাকে
রুদ্ধ করে দিয়ে জীবনের প্রত্যঞ্চায় টান মেরেছে !
কবিতাকে পাথরের মূর্তির মতো
নির্লিপ্ত থাকার প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার
যার বহু চোখের হনন , অঙ্গভঙ্গি ও স্পর্শকে
উপেক্ষা করার দক্ষতা কেবলমাত্র এই জন্য থাকে
কারণ সে তার শেষ ক্রেতাকে খুঁজে ফেরে
সর্বোপরি, কবিতাকেও অনুপ্রবেশকারীর সাথে
মিশে গিয়ে নবজীবন পেতে হয় !
আমাদের কবিতার মুখোমুখি হয়ে নিজেকে
উপস্থাপন করার সাহস দেখাতেই হবে
যাতে সমস্ত বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে
নিজের হাতের তালুতে কবিতার ভ্রূনকে
বারবার বিকশিত করতে পারি !
মিলি