
আজ সকালে সংবাদ মাধ্যমে
আপনার বাঁশির মতো
তীক্ষ্ণ কন্ঠ শুনছিলাম
কোন খেলা জেতার
বিজয়ী উল্লাসের মতো
কিছু স্তাবক হাততালি দিচ্ছিল
জয়গাথা গাইছিলো আপনার
পদলেহন করছিলো চরম আনুগত্যে।
আমি তখন ভাবছিলাম
কেমন মজা হতো যদি আমি
আপনার জায়গায় হতাম
আমিও দামি গাড়িতে চড়ে
মানুষের মাথায় পা রেখে
বড় বড় কথা বলতাম
দেশ-বিদেশে মিথ্যে বড়ায়ে
শোরগোল ফেলে দিতাম
যা ইচ্ছে তাই করতাম।
বিরোধিকে শেষ করে দিতাম
চিনির দর বাড়লো না
তেলের দর বাড়লো
আমার তাতে কিছুই যেতো আসতো না
এই দেশ থেকে শুরু করে ফাইল পর্যন্ত
গোপনীয়তাগুলো আমার থেকেই শুরু হতো
এই জনগনও এক আজব বস্তু
বড়ই নির্মল বোকা ও তরল জলের ন্যায়
আপনি একে বোতলে বন্দি করুন
এ জলের বোতল হয়ে যাবে
আপনি একে নদীতে ছেড়ে দিন এ তখন নদী
আপনি এই জলে আপনার পায়খানাও ধুতে পারেন।
‘জনগণ’ আসলেই যাদের সাথে আপনার
কোন সম্পর্ক নেই ,তাদের নিয়ে
আপনার কোন মাথাব্যাথাও নেই
আপনি ভালো আছেন পোশাকে ভ্রমনে
তোষামোদ করার লোকের অভাব নেই
সত্যিই বড় হিংসে হয় আপনাকে দেখে
কিন্তু যখন এরা ঘুরে দাঁড়াবে
ওদের শরীরের উত্তেজিত পেশীগুলো
অসহায় আক্রোশে পাহাড়
ভাঙতে শুরু করবে তখন!
হুঁশীয়ার
সংকেতের গল্পে এই গনতন্ত্রকে
মুড়িয়ে রাখার এতো মরিয়া চেষ্টা
কেন করো বারবার
বলি প্রদত্ত ছাগলকে অক্ষত চাল
খাওয়ানো হয় যেমন করে
আদর্শবাদের কাটআউট দিয়ে
ঢেকোনা তোমার মিথ্যাকে
শোনো জাতীয়-জঙ্গীরদল
তোমার হায়নার মতো ক্ষমতার খিদেকে
সেনা শিবির থেকে দূরে রাখো !
ওহে বিভাজক
পাখিদের চঞ্চু ও ডাণাকে
রঙের শিবিরে ভাগ কোরনা
এই নরম মাটিকে কংক্রিটের আবরণে
ঢেকে দিওনা, যেখানে হাঁটতে গেলে
শিশুদের পায়ে ফোস্কা পরে!
এই মাটিতে দু ফোঁটা চোখের জল
সংরক্ষন করো যেখানে
ঘাসেরা জন্ম নিতে পারে
পাশাপাশি বসতে পারে
টুপি লুঙ্গি ধুতি পরা মানুষেরা।
বাকপটু বেনিয়ার দালালরা
হঠ যাও তফাৎ যাও মানুষ এবার তৈরী
উত্তরা নক্ষত্রের মতো বজ্র-নিনাদে
হাতুড়ির ঘায়ের মত শক্তি নিয়ে
লোহার শিকলের দৃঢতায়
অন্তরের সবটুকু মনোবল দিয়ে চাবুক বানিয়ে
অবাধ্য ভেঁড়াদের চাবকাতে চাবকাতে
বজ্রের মতো আছড়ে পড়ছে
ঐ দেখো রাস্তার বুকে
বড় তাড়া আজ মানুষের
যেন ভীতুরদল পালিয়ে
সাহারার বুকে আশ্রয় না নেয়
কারণ সেখানে সবুজের
চারা পোঁতা হবে !
মিলি মুখার্জী