
সমাজের মানুষের ধ্যান ধারনা ভুল পথে চালিত করার অপপ্রয়াস চলছে শাসক আর তার তাঁবেদারদের মাধ্যমে। এক নির্লজ্জ প্রয়াস।শাসক সব সময়েই চায় তার প্রজারা ভাববাদে আচ্ছন্ন থাক, সত্যটা যেন ঈশ্বরের ভাব মূর্তির আড়ালে থাকে। স্বাধীনতা আন্দোলন বিরোধী, জাতিভেদ, বাল্যবিবাহ, সতীদাহ সমর্থক এবং বিধবা বিবাহ বিরোধী , অপগুণের অধিকারী হওয়া সত্বেও স্বামীজী ভারতের জনগনের আদর্শ । অথচ, মাষ্টারদা সূর্য সেন যার এত অবদান দেশের স্বাধীনতায় যার সব দাঁত ভেঙে দিয়ে সব হাড় গুঁড়ো করে দিয়ে, সব আঙুল ভেঙে দিয়ে নৃশংস ভাবে মেরে নিথর দেহে ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হয় , সে ব্রাত্যই থেকে গেল। দেশের মানুষের কাছে তাঁকে আদর্শ করে তোলা হল না। কত অন্ধ আমরা ভাবুন। আর কতদিন আমরা মুর্খ হয়ে থাকব বলুন ! বিবেকানন্দ ভাব বাদের পূজারী ছিলেন, যে ভাববাদ শাসকের সাংস্কৃতিক অস্ত্র। অনেক সর্বনাশ করে গেছেন বিবেকানন্দ যা নিয়ে লিখলে মহাভারত হয়ে যাবে।শিকাগোর হে মার্কেটের কথা তারা তুলে ধরে না। কিন্তু শিকাগো শহরের বিবেকানন্দের বক্তৃতাকে তুলে ধরা হয় সারা বিশ্ব জুড়ে। কি চক্রান্ত ! এ দেশে একবার মিথ তৈরী হয়ে গেলে তাকে ভাঙ্গা বড় কঠিন। কেননা,যুক্তিবাদ সেখানে কাজ করেনা। বিবেকানন্দ একজন বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধীতা করার জন্যে, জাতপাতকে টিকিয়ে রাখার জন্যে, ধর্মের বিভেদকে সামনে আনার জন্যে এন্টি কমিউনিস্ট বিবেকানন্দকে সেকালের রাজা-মহারাজাদের সাহায্য নিয়ে ভারতের শাসক শ্রেণি তাকে বিশাল হাইপ দিয়েছে।ধর্ম ভাববাদের জন্ম দেয় যার হাত ধরে চলে সমাজের শাসকেরা। ইতিহাস বই পড়ুন প্রচুর। শাসকের বই শুধু নয়, শাসক বিরোধীদের ইতিহাসে প্রচুর প্রামাণ্য তথ্য পাবেন।
জাতি-বর্ণ ব্যবস্থার এটি একটি গ্লোবাল সঙ্কট। এর বিরুদ্ধে লড়তে গেলে পালটা রেসিজম দিয়ে লড়াই নয়। এর বিরুদ্ধে লড়তে গেলে বর্ণভেদের টেক্টেই লড়তে হবে। শ্রেণি সংগ্রাম হবে তার গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ। আগামি অল্প দিনেই আমেরিকা ধ্বংস হয়ে যাবে চীনের হাতে। কারণ চীনের হাতে আমেরিকার ৩ ট্রিলিয়ন ডলার ট্রেজারি বন্ড। আমেরিকার চেয়ে চীনের সোনা রিজার্ভ বেশী। ফসিল ফুয়েল দিয়ে আর ডলারের উত্থান পতন বিবেচিত হবে না। তথ্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় আমেরিকার ৭৮% চীনের অগ্রগতি। সেটা ছাড়িয়ে যাবে। এই সংকটের স্ফুরণ ঘটছে হোয়াইট ডেমোগ্রাফিক ক্রাইসিসের মধ্যে দিয়ে। সচেতন হন , আলোর দিকে মুখ ফেরান ।
মিলি মুখার্জী